এক মহিলার গর্ভে একসাথে তিন সন্তান। তিনি একদিন হাঁটছিলেন, এমন সময় আশেপাশের কোথাও ডাকাত পড়লো। মুহুর্মুহু গোলাগুলির আওয়াজ আসতে লাগলো কানে। হঠাৎ গুনে গুনে তিনটা গুলি এসে লাগলো মহিলার নিন্মদেশে। তিনি মূর্ছা গেলেন।ভাগ্যের অতিমাত্র্যে মহিলা রক্ষা পেলেন। ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিল বুলেটগুলো ভিতরেই রেখে দিতে, কারণ তারা দেখলো অপারেশন করাটা ঝুঁকিপূর্ণ।ষোল বছর পরের কাহিনী। তাঁর বাচ্চাগুলো খুব ভালোমতই বড় হয়েছে এতদিন। হঠাৎ একদিন এক মেয়ে এসে কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, “মা মা, আমার খুব ভয় লাগছে।”“কি মা, কি হয়েছে তোমার। আম্মুকে সব খুলে বলো।”, বললেন মহিলা।
“আজ হিসু করার সময়না, আমার শরীর থেকে একটা টাটকা বুলেট বেরিয়েছে। ঠুস করে গুলি করার মত শব্দও হয়েছে।”, বললো মেয়েটি।মহিলা ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন। তিনি ষোল বছর আগে ঘটে যাওয়া সে রোমহর্ষক ঘটনাটি মেয়েকে খুলে বললেন। কিছুদিন বাদে এল দ্বিতীয় মেয়েটি। সেও ভীষণ উদ্বিগ্ন, কারণ সেও তার বোনের মত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে কিছু আগেই। মা সবকিছু শোনার পর তাকেও ষোল বছর আগের ঘটনাটা খুলে বললেন। সেও আশ্বস্ত হলো।
আরো কিছুদিন গেছে। হঠাৎ মহিলাটা একদিন দেখলেন তাঁর তিন যমজ সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলেটি ভয়ার্ত মুখে হাঁপাতে হাঁপাতে এল।
“কি হয়েছে, খোকা? এমন করছ কেন?”, বললো মহিলাটা।
সদ্যপ্রাপ্ত ভরাট কন্ঠে ছেলেটা ভয়ার্ত স্বরে বললো, “আম্মা, কিছুক্ষণ আগে মারাত্মক একটা ব্যাপার ঘটেছে।”
মহিলাটা আঁচ করতে পারলেন। “ও বুঝেছি। নিশ্চয়ই তুমি প্রস্রাব করতে গিয়েছিলে, আর একটা বুলেট বেরিয়েছে…তাইতো?”
“না মা, ঠিক প্রস্রাব করতে নয়।”
“তাহলে?” আশ্চর্য স্বরে বললেন মহিলা।
“যাই হোকনা কেন, ভয়ানক ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি আমাদের কাজের বুয়াকে মেরে ফেলেছি।”
0 comments:
Post a Comment